অজ্ঞান হয়ে গেলেও শরীরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ত ওরা

ডেস্ক রিপোর্ট • সৌদি আরবে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে ফেরত আসা গৃহকর্মী সুমি আক্তারকে তার মা-বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার বিকালে বোদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ মাহমুদ হাসান সুমিকে বাবা রফিকুল ইসলামের নিকট হস্তান্তর করেন।
এ সময় সুমি সৌদিতে থাকা প্রায় সাড়ে পাঁচ মাসে তার ওপর নির্যাতনের বর্ণনা দেন। তিনি জানান, আমি যেভাবে নির্যাতিত হয়েছি, তা সবাই ভিডিওর মাধ্যমেই জেনেছেন। আর নতুন করে কিছু বলতে চাচ্ছি না। ওখানে আমার ওপর কী ধরনের নির্যাতন করা হয়েছে, এটা আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। প্রতি রাতেই শরীরের ওপর চলত নির্যাতন। প্রতিবাদ করলেই শুরু হতো মারধর। এক পর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে পড়তাম। কিন্তু তাতে তারা থেমে যেত না। ওই অবস্থায়ই শরীরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ত। জ্ঞান ফিরলে বুঝতে পারতাম সেটা।

তিনি আরও বলেন, বাবা-মায়ের নিষেধ অমান্য করে স্বামী নুরুল ইসলামের প্ররোচনায় পড়ে সৌদিতে পা দেই। সেখানে যাওয়ার পর প্রথম কর্মস্থলে মালিক মারধর, হাতের তালুতে গরম তেল ঢেলে দেওয়া এবং কক্ষে আটকে রাখাসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতন করত। তখন ওই মালিক তাকে না জানিয়ে ইয়েমেন সীমান্ত এলাকা নাজরানের এক ব্যক্তির কাছে প্রায় ২২ হাজার রিয়ালে বিক্রি করে দেয়।

সুমি জানান, অষ্টম শ্রেণি পাস করার পর দুই বছর আগে ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি নিই। সেখানেই আশুলিয়ার চারাবাগ এলাকার নুরুল ইসলামের সঙ্গে পরিচয় ও পরে বিয়ে হয়। মা-বাবার নিষেধ অমান্য করেই স্বামীর কথামতো সৌদিতে যাই। ট্রাভেল এজেন্সি ‘রূপসী বাংলা ওভারসিজ’ ভালো কাজের কথা বলে গৃহকর্মীর ভিসায় ৩০ মে আমাকে সেখানে পাঠিয়ে দেয়।

নির্যাতনের বিবরণ জানতে শনিবার দুপুরে সুমির বাবার বাড়ি বোদা উপজেলা পাঁচপীর ইউনিয়নের সেনপাড়া গ্রামে গিয়ে সুমিকে পাওয়া যায়নি। তার মা জানান, আমার মেয়ে শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাকে চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে নেওয়া হয়েছে।